খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এস এম মুজিবুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- ২ এর বিচারক মো. আল আমিন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার তাকে নগরীর ময়লাপোতা এলাকা থেকে আটক করে। পরবর্তীতে বুধবার বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছিল সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়লাপোতা মোড়স্থ সিটি মেডিকেল কলেজের সামনে। এ সময়ে আওয়ামী লীগের ওই নেতা সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। তার আচারণ সন্দেহজনক হওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়। সেখানে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের বিভিন্ন এ্যাপলিকেশন তল্লাশী করে।
আদালতে পুলিশের দেওয়া তথ্য উপাত্ত থেকে জানা গেছে, মুজিবুর রহমান দেশে অবস্থান করে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দেশে বিদেশে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতা শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল, এস এম কামাল, এড. পারভেজ আলম খান, কাজী আমিনুল হক, ঠিকাদার আশরাফ, যুবলীগের জামাল, ঠিকাদার জাকির, খালিশপুর থানা আ’লীগের সভাপতি সানাউল্লাহ নান্নু এবং অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনের সাথে মোবাইলে বিভিন্ন নামে হোয়্যাটসআ্যাপ, টেলিগ্রাম ও জুম এ্যাপসের মাধ্যমে গোপন আইডি খুলে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। তাদের দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক সরকারকে উৎখাত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর নীলনকশা বাস্তবায়নের যড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
এছাড়া তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুলনাসহ সারাদেশে বর্তমান সরকারবিরোধী মিছিল-মিটিং করানোর উস্কানিদাতা এবং অর্থদাতা। তার মদদে পতিত সরকারের দোসর কতিপয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সন্ত্রাসী এবং কিশোরগ্যাং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সরকারবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছে। যা রাষ্ট্রবিরোধী এবং যড়যন্ত্রের সামিল।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায় খুলনা গেজেটকে বলেন, এম এম মুজিবুর রহমানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তার মোবাইল তল্লাশীর মাধ্যমে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানলয়ে আবেদন করেছি। আবেদন মঞ্জুর হলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে